আকাশের কোন প্রেম চুরি হয়ে গেছে হয়ত। তা না হলে কেন সে কাঁদছে তো কাঁদছেই। কার সাথে প্রেম ছিল তার- নদীর সাথে? সবুজ বনের সাথে? তামাটে ধু ধু বালির মরুর সাথে? নাকি কার্নিশে গজে উঠা খুব ছোট্ট একটা ঘাস ফুলের সাথে? নাকি সে কোনভাবে অত্যাচারিত?
মুখ খুলে কিছুই বলছে না আকাশ। শুধু অঝরে কাঁদছে। কান্না থামলে আর এক কান্নার জন্য চোখে মেঘ খুঁজছে। এদিকে শরত এসে ধূসরতায় প্রকৃতির আবরণ পালটিয়ে বসে আছে। সেই সাদা মেঘেদের ফাঁকেই চলছে কালো মেঘের ইতস্তত আনাগোনা।
তবুও অনেক সাধ করেই বিকেলটায় বেড়িয়ে পড়েছিলাম। বালিনদীতে নৌকায় চড়ে ভাসব বলে কাশফুলের বন মাড়িয়ে বসেছি নৌকোর গোলইয়ে। ভেজা বাতাস পাশ কাটিয়ে যাবার সময় বলল- সাথে কি ছাতি আছে ! তা না হলে নিদেন পক্ষে একটা গামছা? ঠিক বুঝে ওঠা হল না।
নদীর জলে চিরলী ঢেউ তোলার সময় মাছেদের সাথে বাতাসের নাকি কথা হয়েছে। মাছেরা বলেছে আজও আকাশ কাঁদবে। বর্জ্যের জলে ভরা নদীর শ্বাস কষ্ট হোচ্ছে ভীষণ। তারাও মরছে দিনের পর দিন। সে কষ্ট কেউ বুঝে না। তাই তার কান্না থামছে না।
আমি এবার নিজেকেই নিজে বেসুমার ধিক্কার দিতে থাকি। কেননা অসময়ে আকাশের আবেগী কান্না দেখে গালমন্দ করতে চেয়েছিলাম তাকে। কি সর্বনাশ! অলক্ষ্যে প্রকৃতির ভারসাম্যতার খেলা প্রকৃতিই বুঝে। প্রকৃতির প্রতিশোধ তাই কখনও নির্মানের কখনও ধ্বংসের!
০৩ অক্টোবর, ২০২৩।
Post a Comment