অনেক উঁচুতে ওই নির্মল দূর মুক্ত আকাশে
হঠাত দেখা নয় সে কোন কালের ধুমকেতু,
এ যে আমাদের আত্মমর্যাদা ও অহংকারের
নিজের স্বপ্নে গড়া মহাযজ্ঞের পদ্মাসেতু।
বাস্তবতায় প্রমত্তা পদ্মার বুকে চির ভাস্বর হোয়ে
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাঙালির দৃঢ় শির,
পদ্মাও বুঝি জানত আর দাবিয়ে রাখা যাবে না-
বাঙালিকে, তাই অমর করে হয়েছে সে স্থির।
সমালোচনাকারীরা সব পেয়েছে উপযুক্ত জবাব
মহা বিশ্বের বিশ্ববাসীরা আজ বিস্ময়ে হতবাক,
হিমালয় থেকে সুন্দরবন এ নয় হঠাত বাংলাদেশ
এ যে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রে গড়া স্বাধীনতার বজ্রডাক।
মাথা নোয়াতে জানে না বাঙালি জানে না ব্যর্থতা
বাহান্ন থেকে একাত্তর হয়ে পদ্মাসেতুই প্রমান,
যাঁর অমর কবিতা এত শক্তি দিল সাহস দিল
সে আমার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
কবিগুরুর আহাজারি চরণখানি ‘বঙ্গ মাতা’য়
“রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি”র, কষ্ট,
বাংলাদেশ স্বাধীন করে মুজিব তুমি বলেছিলে
সে কথা মানো না তুমি বলেছিলে কথা স্পষ্ট।
তুমি বেঁচে থাকলে হয়ত আজ আবার বলতে
কবিগুরু তুমি দেখে যাও আমাদের পদ্মাসেতু,
এ মুগ্ধ জননীর সন্তানরাই তা গড়েছে নিজ অর্থে
তারা হারতে জানে না, তারা বাঙালির ধুমকেতু।
এ কোন রুপকথার গল্প নয়, এ এক ইতিহাস
আজ বাঙালি জাতি আত্মমর্যাদায় মহীয়ান,
আমরা পারি আমরা পেরেছি স্বপ্নের ডানা মেলতে
পদ্মাসেতু বাঙালিত্বের প্রতীক, নয় কারও দান।
পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ আজ একসূত্রে গাঁথা
এক সুরে গাওয়া জসীম উদ্দীন, রবি, নজরুল,
সেখানে জীবনানন্দ কিংবা থাকুক না সুকান্ত
তবু মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা পিতার বেদীতে ফুল।
Post a Comment