জন্মেই তুমি ছিলে হিমালয় দুহিতা
স্পর্শ ছিলো শিরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর,
দেখেছো বরফের বুকচিরে এসেছে অগ্নিরফলা
অঙ্গুলি নির্দেশে নামে পথপান্তরে জনতার ঢল।।
দেখেছো বজ্রকণ্ঠের নিনাদ যেন মোহন বাঁশি
যার মোহনীয় সুরে স্বদেশের জন্য ঝরেছে,
লক্ষ লক্ষ তাজা ফুল বিলিয়েছে আপন প্রাণপ্রদীপ
মৃত্যুকে করেছে তুচ্ছজ্ঞান ভয়কে করেছে জয়।।
দেখেছো মাতৃভূমির টানে পিতার নিঃস্বার্থ কারাবাস
মাসের পর মাস ছোট্ট শিশুদের মনে পিতৃস্নেহের আকুতি,
দেখেছো মায়ের চোখে প্রিয়র বিরহ বিষাদের ছবি!
একাত্তরে হায়েনার রক্ত উল্লাস তাও দেখেছো তুমি।।
স্বজন হারানো ব্যথার তীব্রতায় ছেয়েছে অন্তর
দেখেছো স্বজনের কোমল দেহে শকুনের ব্যবচ্ছেদ,
হায়েনার উল্লাস আর শ্বাপদের শ্বদন্তের বিষাক্ততা
পৈশাচিক লোভে করেছে বিনাশ তোমার সাজানো বাগান।
বুক চাপড়ে করেছো বিলাপ ঝরেছে চোখে রক্তাশ্রু
নবোঢ়ার রাঙা হাত বুকের রঙে হয়েছে আরো লাল,
কোমল শিশুর কঁচিবুকে বেয়নেটের পাশবিকতা
সব সয়েছো তুমি! বেঁধেছো বুকে পাষাণ স্থাবর।।
পাঁজরের হাড় ভেঙে তুমি করেছো দৃঢ় প্রত্যয়
পিতার স্বপ্নলালিত সোনার বাংলা গড়বে নিজ হাতে,
সমূলে বিনাশ করবে ভেকধারী হায়েনা বংশ
পন করেছে দৃঢ়তায় সরাবে দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।।
তুমি মানবপ্রেমে জয়ী হবে মানসকন্যা,
একে একে সরাবে আঁধার তিমিররাত্রির চাঁদর,
সোনার বাংলায় এনেছো অরুণোদয়ের নবপ্রভাত
অনুশাসনিক করেছো বেয়ারা চাতুর্যের দলকে।।
স্বদেশের মহিমা তুমি ছড়াবে অবতারণিকা হয়ে
নিন্দুকের মুখে করেছো কালিমা লেপন কৌশলে,
সাফল্যের শিখরে আরোহণ করছো তুমি স্বগর্বে
ভেঙে বাধার প্রাচীর বুকে নিয়ে ব্যথার পাহাড়।।
ঈর্ষান্বিত সর্পরা বিছিয়েছে পথেপথে অগ্নিকাঁকর
পদভারে তোমার হচ্ছে সব পুষ্পকেতন যেন!
এগিয়ে যাও দৃপ্ত পদক্ষেপে মহিয়সী নারী তুমি
বঙ্গোত্তম বঙ্গরত্ন বাংলার গর্ব তুমি প্রিয় শেখ হাসিনা।।
Post a Comment