হে বাঁশিওয়ালা তুমি সুরের যাদুকর
তোমার মোহনবাঁশির সুরে আন্দোলিত করেছিলে,
হাজার বছরের নিপীড়িত ঘুমন্ত জাতিকে
আড়মোড়া ভেঙে উঠেছিলো জেগে বাঙালী।
ওগো দুঃখ জাগানিয়া তুমি দিয়েছিলে যাদুর ছোঁয়া
তোমার সোনার কাঁঠির স্পর্শে নিপীড়িতর মনে,
এসেছিলো বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ঝাঁপিয়ে পড়ে অধিকার আদায়ে।
তোমার উত্থিত আঙুলে ছিলো আলোর বিচ্ছুরণ।
বজ্রকণ্ঠে এসেছিলো খণ্ডিত প্রলয় ভীত কাঁপানো সুনামী
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও তুমি মানুষের জন্য কেঁদেছো,
বলেছো মুসলমান একবার মরে দশবার মরে না
প্রবাসের মৃত্যুকুপেও থেকেছো নির্ভয় নির্ভীক অটল।
অথচ তোমার আস্তিনের ভাজে বেড়ে উঠছিলো
বিষাক্ত কালকেউটে ঘুণাক্ষরেও পাও নি আভাস,
বিশ্বাসের ভিতটা তোমার বরাবরই মজবুত ছিলো
ভালোবাসতে বাঙালী জাতিসত্তাকে স্বদেশকে।
ভিনদেশি শ্বাপদ হিমালয় মানবকে টলাতে পারেনি
স্বেচ্ছাতন্ত্রের বন্দিত্বে যাকে আবদ্ধ করতে পারে নি,
সেই সমুদ্রের গর্জন থামিয়ে দিলো ভয়াল অক্টোপাস
বুকের রক্তে রঞ্জিত হলো তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা।
শিশু রাসেল আর নববধূদের দীর্ঘশ্বাস হাহাকার
আজো ঘুরে ফিরছো ৩২নম্বরের প্রতিটি ইটের ভাজে,
ইতিহাস সাক্ষী কুচক্রীরা কখনো জয়ী হয় না
ক্ষমা করবে না সময় ওদের গুনেগুনে দেবে শিক্ষা।
হে বাঁশিওয়ালা ফিরে এসো আরেকটিবার
পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে তোমার বড্ড প্রয়োজন
সোনার বাংলায় আজ পুরনো শকুনের আনাগোনা
বজ্রকণ্ঠ নিয়ে বিশুদ্ধ চেতনা নিয়ে আগমনী গান নিয়ে
ফিরে এসো হে বাঁশিওয়ালা ফিরো এসো....।
Post a Comment