বিবিধ বিভীষিকায় এসেছি এ ধরায়
দেখি জীবনের বর্ণমালা এখানে তালহারা এক
মর্মান্তিক অধ্যায় !
পার্থিব বৃত্তচাপে দেখি কেবল অশনির কোলাহল, স্বপ্নের গোলকে ধাধারা দেয় যেন চমকপ্রদ টহল।
চতুর্দিগন্তে দেখি কেবল খেলারাম খেলে যায়,
মঞ্চায়িত হয় দিবানিশি জগতজুড়ে
নিরাশার যত নাটক বেশ স্বকীয়তায়।
তবুও চলি নিশ্বাসের স্বাধীনতায়
যেন কেবলই পেটের দায়।
সবাই যেন ফেলে যায় দরিয়ার গ্রাসেo
নিমিষেই নিঃশেষে ওরা বেশ অট্টহাসি হাসে।
ঠাহর করতে শেখার আগেই দেখি নিকষিত ছায়া
সোহাগের আকাশ তাই উম্মাদ মেঘমালায় ঢাকা।
তবু বুক চাপড়াই মুক্তির আশায়,
এ যেন পৃথিবী দেখার আগেই দেখি
নিশ্বাসে ওষ্ঠাগত হায়েনার থাবায়,
যেন শিশুর শাল দুধের অধিকারে
আঘাতের চিহ্ন সতত জিলকায়,
জানি সবে দুফোঁটা সে দুধই যেন পরম শক্তি জোগায়,
তাকাই তাই অবলীলায় আকাশের নীলিমায়।
ভাগ্য বদলের চেষ্টায় তবে
ছুটে চলি দৃপ্ত পদভারে,
কর্ম করি তাই সারাবেলা অফিসের আবেশে।
অন্তরাত্মা আজ যেন হাহাকারে আচ্ছন্ন,
শুষ্কতায় বিবর্ণ তব পয়োধরের পানীয়তে
উদর আর ভরে না আজ,
কর্ম সম্পাদনে উচ্ছলিত ভংগিমায়
দুধ পানের স্বাধীনতা আর যেন মেলে না,
মুক্তির অলীকতায় যেন শৃংখলিত মম আত্মা
বুকচেপে কেবল তাই বিসর্জন দিই সব মমতা।
বিলাসী বসন্তে আজ এস ও ০৮ মোরা অশ্রু মুছি
শত হাতে একসাথে,
হাত নাড়িয়ে তবু বিদায় জানাই কপাল ঠুকাই কাঠে!
আমরা কারো গতিরোধক হয়নি জীবনাবধি,
উন্নত হবে মম শির তাই---
সমবেত কণ্ঠে সতত মিলিয়েছি সে সুর নিরবধি।
প্রার্থনায় মেতেছি কেবল রবের দরবারে
অজান্তে তবে ভাবনায় আসে,
আপন হতে এত বাধা কেন এ স্বাধীন দেশে?
শুনি কর্মই ধর্ম ---মূল্যবোধে নামে না জীবনের দাম,
সবুজ বনানীর সজীবতার আশায়
বাহারি আহার না হয় নাই পেলাম!!!
দেখি নাগরিক দেওয়ালে শুধুই মেলে
অসত্য সব কথামালার কলকাকলি,
ভণ্ডামির বৈচিত্রে তাই ফলে শুধু নিষ্প্রাণ প্রেম।
আমরা পথহারা পথিক,
বিদায় তবু জানাই বিষন্নতায় বনমালীর প্রস্থানে,
টলমল অশ্রুপাতে পরম ভাগ্য মোদের
অবাক বিস্ময়ে তাকায় শুধু পরম্পরায়,
অনিদ্রা- অনাহারে ভোর হতে মধ্য রজনীর গায়,
সময় যায় বহুধায় কাটাই কেবল আশায় আশায়।
নিষ্ঠুর এ পড়োভূমিতে অনাচারের আবাদে
শুনি শুধু নিপীড়িতের আর্তনাদ,
বিধাতায় জানাই তাই মূল্যবোধে গড়ুক এক
সুষম সমাজ।
আস সবে ভাই আশাবাদী হই হাসিমাখা মুখে,
গলাগলি ভাবে বুকে বুক রেখে অমরতার সুরে
বন্ধু সব করি রব স্বাধীনতার মিছিলে।।।।
Post a Comment