ওরে স্বাধীনতার মুক্ত হাওয়া
কার ধ্বনিতে পাই
৭-ই মার্চের সেই যে ভাষণ
মধুর আওয়াজটাই।
জানিস সেই ভাষণ-ই অমরবাণী
জয় বাংলার ধ্বনি
মুজিব হলো মহানায়ক
আমার চোখের মণি।
ওরে মনে প্রাণে শক্তি সাহস
বাঁচা মরার পণ
মনঘরে সেই বঙ্গবন্ধু
শক্তিতে যাপন।
আমি আমার সঙ্গে লড়াই করে
নিজকে ভাঙিগড়ি
লাল-সবুজের পতাকা রঙ
আমার জীবন ঘড়ি।
আমি হাওয়ার সঙ্গে উড়ে বেড়াই
মুক্তি আমার মন
বাংলা গানের প্রাণের ছোঁয়ায়
সুখ দুঃখে যাপন।
আমি ভোরের সূর্য জয় করেছি
বাংলা আমার হাসি
বাঙালি রঙ ধারণ করে
স্বদেশ ভালোবাসি।
আমি যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন নিয়ে
মুক্তিসেনার দলে
বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী হাক
হৃদয় আগুন জ্বলে।
আমি আমার বুকে ধারণ করি
বাংলাদেশের নাম
জয়বাংলা ধ্বনি বুকে
আনন্দ ধুমধাম।
ওরে লড়াই চলে লড়াই চলে
মুক্তি যখন বীর
বঙ্গবন্ধু কারাগারে
এ বাংলা অস্থির।
আমার মরণশীলে কর্মযজ্ঞে
জীবন্ত সেই ছবি
অমর কাব্য লিখে ওরে
হলেন মহাকবি।
আমি সেই কবিতা ধারণ করে
স্বদেশ প্রীতি মনে
মুক্তিযুদ্ধের বীর বাঙালি
যাই ছুটে যাই রণে
আমি বাংলা নামে স্বাধীন ভূমি
স্বাধীন দেশের ছেলে
আমার মনে সুখ সারথি
যে দিয়েছে জ্বেলে।
ওরে সে যে আমার বঙ্গবন্ধু
চেতনার এক রাশি
বাঙালি রঙ ধারণ করে
তাঁকে ভালোবাসি।
আমি তাঁর আলোতে আলো ছড়াই
গাইছি দেশের গান
বাঙালি রঙ ধারণ করে
দেই তারে সম্মান।
আমি প্রাণের প্রদীপ জ্বেলে যখন
তাড়াই আধার রাত
নয় মাসে প্রাণ রক্তে নদী
সম্মুখে প্রভাত।
আমি বিজয় নিশান উড়িয়ে যখন
টুঙ্গিপাড়া যাই
মাঠে ঘাটে ঘাসের বুকে
প্রাণের ছোঁয়া পাই।
ওরে দেখি আমি সবুজ ভূমি
মাঠ পেরিয়ে নদী
নোঙর করে বিশাল জাহাজ
দেখছি নিরবধি।
আমি মধুমতীর পাড়ে গিয়ে
জলের দিকে চাই
জল -নোঙের গল্প করে
সুখ সময় কাটাই।
আমি প্রশ্ন করি নিজের কাছে
জলযোয়ারে প্রাণ
নদীর বুকে ভাসতে দেখি
প্রাণ ছোঁয়া সাম্পান।
আমি গাছের ডালে তাকিয়ে দেখি
বাসায় পাখির ছাও
সবুজ রঙের পাতায় মোড়া
এই আমাদের গাঁও।
আমি ফড়িং পাখির কাছে শুনি
খোকার গল্পখানি
খোকার গল্প শুনে আমার
চোখে আসে পানি।
ওরে খোকা আমার পেরুনার নাম
বাঙালি বীজমন্ত্র
স্বাধীনতার উৎসমূলে
হই আমি জীবন্ত।
আমি মুজিব নামে চেতনা ফুল
বাংলাদেশের বুকে
স্বদেশ প্রেমের যোদ্ধা আমি
কে আমারে রুখে।
আমি খোকার সঙ্গে কাটি সাঁতার
সেই চেতনার সঙ্গে
তাঁর আদলে ঠাঁই দাঁড়িয়ে
এ যে সোনার বঙ্গে।
Post a Comment