পিতা তুমি আছ বাংলার শ্যামলী মায়ের আঁচলে,
দুর্বা ঘাসে প্রজাপতি হয়ে গোলাপের ঘ্রাণে
ছেলে হারা মায়ের অশ্রু সজল নয়নে
সম্ভ্রম হারা মেয়ের কান্নায় ভেঙ্গেপরা বাবার দীর্ঘশ্বাসে।
সেদিন পরিচয় হীন মেয়ের পিতা হয়েছিলে তুমি
আজও বত্রিশ নম্বর বাড়িতে তোমাকে খুঁজে ফিরে
দেখা হয় পনরই আগষ্টের সকাল বেলায়।
পিতা তুমি আছ খোকা হয়ে বাবা মার আদরের চুম্বনে চুম্বনে
হাজারো কোটি মানুষের হৃদয়ে শ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়ে,
বাংলার মানুষের হাড্ডিসার রুগ্ন দেহাবসান জীর্ণ কুঠিরে।
পিতা তুমি আছ কুমারীর গায়ে ছেঁড়া চটের বস্ত্রে
ভিটেমাটি ছাড়া ঘর হারা নিঃস্ব এক ভিখারির আর্তনাদে।
পিতা তুমি আছ ক্ষেত মজুরের ভাঙ্গাঘরে
শ্রমিকের হাতুরির শব্দে শব্দে
কৃষকের ন্যায্য ফসলের দাবিতে
কুমারের মাটি দিয়ে গড়া নক্সি হাড়ি পাতিলে।
পিতা তুমি আছ তৈলচিত্রে আঁকা শিল্পীর ক্যানভাসে
শহরের মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্যে।
পিতা তুমি আছ জেলে পাড়ার রমেশ মাঝির বৈঠা হাতে
সমুদ্রের ঢেঊয়ে হারিয়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে ছোট্ট ছেলে।
পিতা তুমি আছ তাঁত শিল্পীর বুননে বুননে
সূতো দিয়ে হরেক রকম রঙিন গামছা শাড়িতে।
পিতা তুমি আছ সবার কমল হৃদয়ে
সংগ্রামী চেতনায় বীরত্ব গাঁথা এক ইতিহাস হয়ে।
Post a Comment