আপনার সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত দিন।
উঃ প্রশংসাপত্রের নাম: আফিয়া সুলতানা রুবি
।লেখালেখি- আফিয়া রুবি নামে। জন্ম: ০১ ডিসেম্বর, ১৯৮০ ইং। লেখার শুরু- খুব সম্ভবত: নবম শ্রেণী থেকেই। প্রথম কবিতার বই "আত্মপ্রকাশ"।
২. সাহিত্য সংস্কৃতির কোন কোন শাখায় কাজ করতে আপনি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন?
উঃ কবিতা, গল্প, ছড়া, গান ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ। উপন্যাস একটি ধারাবাহিক অধ্যায়, যা একনিষ্ঠ সময়ের দাবী রাখে। যে কারণে দীর্ঘমেয়াদী সময়ের চাকরির পাশাপাশি তাকে সময় দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনো। আশা রাখি- একদিন হয়ে উঠবে একটি পূর্ণাঙ্গ কথাসাহিত্য। তবে, সবচেয়ে প্রিয় শাখা কবিতা। যা মনের আহার যোগান দিয়ে থাকে।
৩. মানুষ হিসেবে সামাজিক দায় আছে। এটা আপনি কি ফিল করেন?
উঃ অবশ্যই অনুভব করি- মানুষ হিসেবে আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে।
৪. আপনার সমাজকর্ম, কবিতা, গল্প, উপন্যাস বা সঙ্গীতে কি সেই দায় পরিশোধের চেষ্টা করেন?
উঃ বরাবরই চেষ্টায় থাকি। কিন্তু, সীমাবদ্ধতার বাইরেও যে আমি নই। চাকরি ও সংসারের দায়ও তো এড়াতে পারি না।
৫. যুগটা এখন ভঙ্গুর এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কাল। কেনো এমন হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
উঃ যুগ কোনকালেই সোজা পথের পথিক ছিল না। যুগের বৈশিষ্ট্য হলো- নতুনত্ব। ভেঙ্গেচুড়ে নুতন কিছু তৈরি করা যুগের ধর্ম। সেখানে যুগের শাসকদের অনেক দায় থাকে। ভালো-মন্দের মধ্য দিয়েই তারা সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আর সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কথা বললে বলতে হয়, সবকালেই তা বিদ্যমান। আমরা লেখাপড়ায় শিক্ষিত হই, মনে নই।
৬. সুন্দর পৃথিবী গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করতে হবে, আপনি কি এর সঙ্গে একমত?
উঃ শতভাগ।
৭. মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করতে হলে কী কী উদ্যোগ নিতে হবে বলে আপনি মনে করেন?
উঃ লেখাপড়ার পাশাপাশি উদ্যোগী হতে হবে। লেখাপড়ায় নারী-পরুষের বৈশিম্য থাকবে না। বিজ্ঞানসম্মত কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
Post a Comment