প্রতিদিন সকালে দরজার নীচ দিয়ে পত্রিকা দেয় হকার। পত্রিকা তো নয়- তরতাজা কিছু খবর, সুখবর, (দু:খবর!), কিছু দু:সংবাদ, কিছু কান্না, কিছু স্বপ্ন, কিছু আধুনিক পৃথিবী যেন প্রবেশ করে বাড়ির ভেতর।
কিছু সুখবরের পরে দু:খবর লিখতে গিয়ে দেখি লেখা হয় না। ওটা হয়ে যায় দু:সংবাদ! কিন্তু কেন? হঠাৎ করেই এখন কেমন এলোমেলো লাগছে। খবরের কাগজ বলব, নাকি বলব সংবাদপত্র অথবা শুধু পত্রিকা।
সে যাই বলি- কিন্তু দু:সংবাদ আর দু:খবরের কি হবে? তোমার কথা মনে পড়তেই আপাততঃ বাঁচা গেল। এ জন্যই বলে "আমার একটা তুমি চাই। আসলেও জীবনে একজন তুমি সকল কষ্ট উপশমের যেন যাদুর কাঠি একটা।
এই দেখো আমারও তাই হল। এ সব খিল লাগানো ভাবনা দূরে রেখে তোমার কথা মনে পড়তেই সব কেমন স্বাভাবিক হল। মনে পড়ে গেল আজ শুক্রবার। ম্যাজিক লন্ঠনে তোমার সাথে কবিতার আড্ডায় দেখা হওয়ার কথা।
তোমার বিড়াল ভালো লাগে কি না জানি না। তবে আড্ডায় একটা বেগানা বিড়াল তোমার মশৃণ পা যখন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় তখন তুমি শিহরিত হও। তা বেশ টের পেয়েছি আমি। না- এ কথাগুলো কখনও খবর হয়ে দরজার নীচ দিয়ে প্রাপ্ত পত্রিকায় পড়া হবে না।
তুমি মিডিয়া পাড়ার সেলিব্রিটি নও যে তোমার শখের পোষাকে আকাশে উড়ে যেতে যেতে একটা কাক বিষ্ঠা ত্যাগ করেছে আর সেটাই পত্রিকায় হেড লাইন হতে হবে, অথবা আজ অনেকদিন পরে অর্ধেক আপেল খাওয়া ব্রান্ডের আই ফোনে নিজেই সেল্ফী করেছ।
মানুষ বলে সেলিব্রিটি হওয়ার ঝামেলা প্রচুর। আমি তো বলি ওসব ঝামেলা টামেলা নিজে থেকেই বেশী করে বানানো। আসলে মজাটাই বেশী। দেখো না তার পিছে কত অনুসন্ধিৎসু চোখ ঘুরে বেড়ায় প্রতিদিন, কত কদর, কত ভালোবাসা, কত ইন্টারভিউ, কত ফলোয়ার। এটা সে ঠিকই এঞ্জয় করে।
না, আজ আর অন্য খবরের কথা বলব না। কি হবে বলে যে, কাঁচা মরিচের কেজি পাঁচশো কেন, নগর পিতা থাকতে ডেঙ্গুতে মরছি কেন, কি হবে বলে নৈতিকতা? আর খেলা নিয়ে টাইগারদের খেলার খবর কিংবা আন্তর্জাতিক ইউক্রেনের দুদ্ধ নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার খবর আর ভালো লাগে না। ওসব আজ থাক। তুমি বরং ভালো থেকো। আমার তুমিটাও যে খুব প্রয়োজন।
১৩ জুলাই, ২০২৩।
Post a Comment