প্রতিদিন দেখি অর্থহীন বিষয় নিয়ে ঠুকোমুখি।
অথচ এখন দাবদাহ, বৃষ্টি নেই। এনভায়রনমেন্ট পোলুউশন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিদ্যুৎ নেই, নিত্যপন্যের মূল্য ঊর্ধ্বগামী, বাড়ছে অসুখ।
জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। কত কি নিয়ে অতিষ্ঠ জীবন।
এ সব নিয়ে আমি জানালার পাশে বসে ভাবি। চেয়ে থাকি দূর আকাশের দিকে। মেঘ খুঁজে বেড়াই। বৃষ্টি ঝরানো মেঘ। এখন আকাশের দিকে চেয়ে থাকা কেমন একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ বিদ্যুৎ গেলে এই আসবে, এই বিদ্যুৎ আসবে এমন ভাবনার সমাধি হয়েছে ইদানিং।
জানালায় বসে এই যে কত কি ভাবতে শিখছি এখন, এটা কি একটা বিষয় হতে পারে? কারও কাছে নাও হতে পারে তবে আমার কাছে এটা বিষয়। কেননা আমি আকাশের দিকে চেয়ে খুঁজে বেড়াই বৃষ্টি-মেঘের মালিককে। নীচের দিকে তাকাতে ভয় হয়। দেখি সবুজ ফসলিয়া প্রান্তর নয় যেন চারিদিকে মরুভূমি প্রতিধ্বনি।
এখনও স্বাধীনতা নিয়ে ঠুকোমুখি, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ঠুকোমুখি, রাজনৈতিক দর্শন, রাজনীতি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল নিয়ে ঠুকোমুখি। শিক্ষালয়ে, অনুষ্ঠানে, প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সংগীত নিয়ে ঠুকোমুখি, আর রণসংগীত বাজিয়ে এখন কি এসেম্বলির সমাপ্তি হয়? মনে হয় না। অথচ হতে পারত।
কাগজ কলম নিয়ে প্রতিদিন বসে থাকি কিছু একটা লিখব বলে। কবিতা লিখে কি হবে? কেউ পড়ে না। গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস যে পড়ে তাও মনে হয় না। বোদ্ধারা তবুও কবিকে স্যালুট করে, বলে কবিরা কখনও সাবেক হয় না। অথচ আমি খুঁজি কতগূলো সাবেক কবিকেই। এখানেও ঠুকোমুখি!
০৫ জুন, ২০২৩।
Post a Comment