আমার জীবনে তুমি এক অপরিশোধ্য ঋণ
এবার শোধ করতে চাই সে ঋণের বোঝা।
চিরতরে নির্মূল করতে চাই তোমার অসত্যের স্মৃতিকে॥
শোষণ করে নিয়েছ আমার যে হৃদপিন্ডকে
তার প্রতিদানে,,,
পৃথিবীর অন্তিম প্রান্তে দাঁড়িয়ে, মৌনতা ভেঙে, অবশিষ্টটুকু নিঃশেষ করে দিতে চাই।
এরপর,,,
ছলনার জালে আটকে যাওয়া নতুন মক্কেলের মতো অনন্তকাল তুমি অপেক্ষা করবে,
করবে আশা, গাছের সঙ্গে কলমের চারার একাত্মতার জন্য আকুতি জানাবে॥
জগতের প্রভুত্ব দেখিয়ে প্রলুব্ধ করেছিলে যাঁদের,
তাঁরা তোমার চাটুকারিতার বিচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মোমবাতি জ্বালিয়ে ঋণমুক্তির প্রার্থনা করছে॥
সুরভিমাখা ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে সমস্ত ইন্দ্রিয়কে ধূসর করে দিচ্ছে
দুঃখের বলয় সূর্যের উত্তপ্ত হলুদে আভা ছড়াচ্ছে, ঠিক তার প্রতিশ্রুতির মতো।
গতকালের তিক্ত পেয়ালা-ভরা পাত্র
আজ বিদায় বেলায় ছড়িয়ে পড়ুক জুলাইয়ের কলরোলে!
তোমার হাতে বই, নিঃশ্বাসে বাধা পেয়ে টপকে পড়ে!
একটা টেবিল, ভাঙা একটি মগ, দুটো চেয়ার ফাঁকা!
জীবনব্যাপী নিঃসঙ্গতার ব্যাপ্তি সারা ঘরে
প্রিয়জন ঋণ শোধ করে ছোট্ট কুঠরীতে সুখী একাকিত্ব উপভোগ করছে।
বিদায়বেলায় তোমার জন্য লিখে রেখে গেলাম একটা ঘুম-পাড়ানী গান।
Post a Comment